পেনসিলভানিয়া, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে 'স্টুপিড', 'শুয়োরের বাচ্চা', 'বেজন্মা' বললেন আম জনতা দলের তারেক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় জাবি ছাত্র আজীবন বহিষ্কার বাবরি মসজিদ নির্মাণে এক ব্যক্তিই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা ৩৮ কোটি টাকা পরিশোধের নোটিশ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা

এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৩ এএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন হয়েছে। গত বুধবার এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হয়েছে এটি। চলতি বছরে রুপি এখন পর্যন্ত ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। এটি ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে এবং এটিকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত করেছে।

সম্প্রতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কই রুপির দরপতনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তি হলে রুপির পতন ঠেকানোর একটা সুযোগ থাকলেও সেই চুক্তি এখনো অধরাই রয়ে গেছে।


তবে এই সংকটের মূল কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ভারতের শেয়ারবাজারে। ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় স্টক মার্কেট বিশ্বের অন্যান্য বড় বাজারের তুলনায় সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে। এ বছর এমএসসিআই ইন্ডিয়া সূচকের ডলারভিত্তিক রিটার্ন ছিল মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যেখানে বৃহত্তর উদীয়মান বাজার সূচকে রিটার্ন দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশে।


এই বিশাল ব্যবধান বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বড় আঘাত হেনেছে। তারা এ বছর ভারত থেকে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়ে ভালো পারফর্ম করা বাজারগুলোতে বিনিয়োগ করছে। রুপির দুর্বলতায় আপাত লাভবান হয়েছে রপ্তানি খাত। যুক্তরাষ্ট্রের ভারী শুল্কের কারণে এর আগে রপ্তানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়লেও রুপির দরপতন তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে।


ভারতের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ার কয়েকটি ত্রৈমাসিক ধরে সীমিত পরিসরে আটকে ছিল। যদিও এই সপ্তাহে সামান্য উন্নতি দেখা গেছে, তবু সার্বিকভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন তেমন নেই।


গত সপ্তাহে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি হিসাবের ঘাটতি কিছুটা কমলেও পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতি অক্টোবর মাসে রেকর্ড ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে—যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রুপি আরও দুর্বল হতে থাকায় জ্বালানি আমদানির ব্যয় বাড়বে, পাশাপাশি বিদেশি ঋণের খরচও বাড়বে। এর প্রভাব পড়বে বিমান, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইলসহ নানা খাতের উৎপাদন ব্যয়ে। রুপির পতনে বিদেশ ভ্রমণ ও বিদেশে পড়াশোনার খরচও দ্রুত বাড়ছে। দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন বলেন, এ নিয়ে আমি ঘুম হারাম করছে না। তিনি দাবি করেন, রুপির দুর্বলতা মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাব ফেলছে না এবং ২০২৬ সালে মুদ্রা পুনরুদ্ধারের আশা প্রকাশ করেন।


এইচএসবিসির এশিয়া এফএক্স প্রধান জোয়ি চিউ বলেন, প্রতিদিন বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ার ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ও বহির্মুখী প্রবাহ ডলার/রুপি আরও উপরে ঠেলে দিচ্ছে, অথচ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ কমছে।


মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad