পেনসিলভানিয়া, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা দেশে এল তারেক রহমানের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি, বিআরটিএতে নিবন্ধন সম্পন্ন পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আম জনতার দল, চেয়েছে প্রজাপতি প্রতীক অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন কমান্ডো এনএসজিসহ ২৪ ভারতীয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

“৯০ দশকের অসাধারন কিছু স্মৃতি নিয়ে আমার লেখা”

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪

তানজিমা আক্তার

ঠিক কোন স্মৃতি দিয়ে শুরু করব বুঝতে পারছি না তবে শুরুটা হওয়া জরুরি। শুরুটা কি এমন হতে পারে ধরুন আমাদের ৯০ দশকের শৈশবের কিছু স্মৃতি এবং তার প্রতি ভালোবাসা।তবে তাই হোক।

 আমি শুরু করছি আমার কিছু শৈশবের অভিজ্ঞতা নিয়ে যা আশা করছি অনেকের শৈশবের সাথে মিলে যাবে।

  আমাদের বাড়িটা ছিল ঐ সময়ের ঢাকার মধ্যে বিশাল বড় একতালা বাড়ি।বাড়িটির উপরে ছাদের পাশে ছাদ ঘর ছিল সেখানে সন্ধ্যায় জমে উঠত আড্ডা।আর নিচতালায় অনেকগুলো ঘর একসাথে ছিল যেখানে আমরা জেঠা জেঠী ভাই বোনরা একসাথে সবাই ছিলাম।

  আমার বড় জ্যাঠামনির ঘরে একটাই টিভি ছিল সেটাও আবার “সাদাকালো”।যার মধ্যে একটাই চ্যানেল ছিল “বিটিভি”।আমাদের বাসায় আমার বলে কিছু ছিল না সব সময় সবাই বলতাম “আমাদের“এই ছোট্ট শব্দটির মধ্যে অনেক আবেগ লুকিয়ে আছে যা আজ আর খুজেঁ পাওয়া যায় না।

  সেই “সাদাকালো” টিভিতে শুক্রবার হলেই আমরা ভাই বোনেরা অনেক ধরনের অনুষ্ঠান দেখার জন্য অপেক্ষা করতাম এবং একসাথে সবাই দেখতাম এ যেন মিলন মেলা। শুক্রবার হলে আমাদের বাসার সবাই থাকতো সকাল থেকে পুরো বাসা সবার কথায় গুমগুম করত এবং আমরা ছোট ছোট ভাই বোনেরা খুবই খুশি থাকতাম কারণ আমাদের আব্বু,বড় জ্যাঠা,ছোট জ্যাঠা,বড় ভাই সবাই বাসায় থাকতো।

  আমার বড় জ্যাঠা সব সময় অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় পকেট ভরে “মিমি” নিয়ে আসতেন আমাদের ভাই বোনদের জন্য।সময়ের সাথে এখন মিমির প্যাকেট পরিবর্তন হয়ে গেছে কিন্তু স্মৃতি রয়ে গেছে।বড় জ্যাঠা ঘরে আসলেই আমাদের সাহস বেরে যেত কারন মা পড়াতে বসিয়ে আর কিছু বলতে পারবে না।আমাদের বড়জ্যাঠা আমাদের কাধেঁ করে রাখতেন।আমাদের একটু শব্দ শুনলেই জ্যাঠা বলে উঠতেন “কি হইছেরে আমার জ্যাঠার” আর আমরাও আল্লাদে বড় করে কান্না করে ফেলতাম।সেই স্মৃতিগুলো মনে হলে আজ ও চোখে পানি চলে আসে।

   অনেক স্মৃতি ভরা আমার সেই শৈশব যা ভুলার নয়।আমি আরো ছোট ছোট ৯০ দশকের স্মৃতি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই।আমার এই চেষ্টা।


মন্তব্যঃ

শবনম বলেছেন, ০৯:০৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪

শৈশব টা আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো!

Ahona বলেছেন, ০৪:০৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪

আমারও মনে পড়ে ড্রয়িংরুমে বসে আমার পছন্দের কমলা কালার প্লেটে তোমার হাতে ভাত খাওয়া। রাতের বেলা তোমার সাথে ঘুমানোর জন্য কান্নাকাটি করা। তারপর কলেজ থেকে আসার সময় আমার জন্য কেক নিয়ে আসা। সবকিছুই মনে পড়ে কিন্তু এগুলো শুধু এখন স্মৃতি। 😌

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad