পেনসিলভানিয়া, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান বিএনপি’র প্রার্থী পরিবর্তনে আবেদনের স্তূপ নয়াপল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, যা বললেন জামায়াত আমির হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু: ডিএমপি কমিশনার হাদি বলেছিলেন, ‘তোমরা আইসো না, প্রচারণা শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করবো’ খালেদার জন্য হাসিনার প্রার্থনা, স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ পার্থর বিপক্ষে এনসিপি থেকে লড়বেন তাজনূভা জাবীন বগুড়া ৬-এ তারেক রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির ওয়াকি আব্দুল্লাহ কে কোন আসনে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন: তারেক রহমান

মিশিগানে পুলিশের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:২৬ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ সামসুল হুদা টুটুল॥

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে ওয়ারেন সিটি পুলিশের গুলিতে হোসেন আল রাজি (১৮) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়ারেন সিটি পুলিশের এক কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, মধ্য দুপুরে ৯১১ এ পরিবারের পক্ষ থেকে একটা ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে পৌঁছান। পুলিশ কর্মকর্তারা ওই যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখতে পান এবং অস্ত্র ফেলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ওই যুবক তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসেন।


পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মরক্ষার্থে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। পরে আহত অবস্থায় যুবককে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আতিক হোসেন জানান, আমার দুই ছেলে ও আমি সকালে একসঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ার পর সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। দুপুরের দিকে ওর মা ও আমার মেজো ছেলে আমাকে বলছে হোসেন আল রাজি অসংলগ্ন আচরণ করছে। আমিও দেখি ও তার আচরন অস্বাভাবিক। আমার মেজো ছেলেকে দিয়ে ৯১১ এ কল দেই। অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতায় আমার ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়া যায় কিনা। কিছুক্ষণের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ আসলে আমরা নিরাপদ স্থানে আছি কি না জানতে চাওয়া হয়।


তিনি জানান, আমরা গ্যারেজের গাড়ির ভেতর আছি বলার কিছু সময়ের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। আবার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের ডেকে সবাইকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে সবার জবানবন্দি নেন। আমরা সবাই বাসায় ফিরে আসলে বিকেল ৪টার দিকে খবর আসে আমার ছেলে মারা গেছে। আমি অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য চাইলাম ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আর পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেললো। কি এমন অপরাধ করলো আমার ছেলে, যে কারণে ওকে গুলি করে মারতে হলো। তিনি মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকান সবার সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন।


নিহতের বাবা জানান, আমার ছেলের মরদেহ এখনো হাসপাতালে পড়ে আছে। দেখতেও পারছি না। তবে সোমবার মরদেহ হস্তান্তর করার সম্ভাবনা আছে। হস্তান্তর করা হলে ওই দিনই ইসলামিক সেন্টার অফ ওয়ারেনে দুপুরে জানাজার নামাজ শেষে ওখানেই দাফন করা হবে। জানা গেছে, নিহত হোসেন আল রাজি হলেন মোহাম্মদ আতিক হোসেনের বড় ছেলে। দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানিবাজার পৌরসভার সুপাতলায়। প্রায় ১৬ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে ও দ্বিতীয় ছিল।


এ ঘটনায় দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশি অধ্যুষিত মিশিগানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং কমিউনিটিতে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য,গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্কে ১৯ বছরের যুবক উইন রোজারিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। উভয় ঘটনা তদন্তাধীন আছে।

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad