পেনসিলভানিয়া, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে 'স্টুপিড', 'শুয়োরের বাচ্চা', 'বেজন্মা' বললেন আম জনতা দলের তারেক খাদ্যদূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ, সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় জাবি ছাত্র আজীবন বহিষ্কার বাবরি মসজিদ নির্মাণে এক ব্যক্তিই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা ৩৮ কোটি টাকা পরিশোধের নোটিশ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা

৩৮ কোটি টাকা পরিশোধের নোটিশ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৫ এএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ব্যাংকের ঋণের ৩৮ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ করলো নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাকে। বিষয়টি নিয়ে নেটদুনিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন মান্না। গত বুধবার ইস্যুকৃত এই নোটিশটিতে স্বাক্ষর করেছেন ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বগুড়ার বড়গোলা শাখার এফএভিপি ও শাখা প্রধান মো. তৌহিদ রেজা। নোটিশে আগামী ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে ঋণের সমুদয় পাওনা পরিশোধের কথা কঠোরভাবে বলা হয়েছে। ওই সময়ের পর আর কোনো সময় দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নোটিশে। 

ব্যাংক বলছে, ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয়ার পরও কিস্তি পরিশোধ করেননি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না। ফলে তাকে চূড়ান্ত ‘কল ব্যাক নোটিশ’ পাঠিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, বড়গোলা শাখা। 

ব্যাংকের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত ‘আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’র নামে ব্যাংক থেকে এইচপিএসএম (প্রজেক্ট) ও বাই মুরাবাহা টিআর (চলতি মূলধন) বাবদ মোট ২২০ মিলিয়ন বা ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। মুনাফা ও অন্যান্য চার্জ যুক্ত হয়ে গত ২রা ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ব্যাংকের মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩৮৪.৭৬ মিলিয়ন বা প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।


শাখা প্রধান মো. তৌহিদ রেজা স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ব্যাংকের পক্ষ থেকে হতাশা প্রকাশ করে বলা হয়, গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে মোট ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আফাকু কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ কোনো কিস্তির টাকাই জমা দেয়নি।


নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, “নিয়মিত কিস্তি দিলে ২০১৭ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের দায় পরিশোধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি যে, লাভজনক একটি প্রকল্প থেকে শুধু সদিচ্ছার অভাবে ব্যাংকের দায় পরিশোধ না হয়ে ঋণের বোঝা বেড়েছে।”


ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বারবার মৌখিকভাবে, ফোনে এবং এর আগে একাধিক চিঠি (১০/০৯/২০২৪, ১০/১১/২০২৪ ও ৩১/০৮/২০২৫ তারিখে) দিয়ে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকের পক্ষে আর বিনিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এমতাবস্থায়, আগামী ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ঋণের সমুদয় অর্থ (৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা) পরিশোধ করে হিসাব নিষ্পত্তি করার জন্য মাহমুদুর রহমান মান্নাকে চূড়ান্ত অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে বলে নোটিশে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।


বিষয়টি নিয়ে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি বগুড়ার বড়গোলা শাখার এফএভিপি ও শাখা প্রধান মো. তৌহিদ রেজা মানবজমিনকে বলেন, আমার এই শাখার শাখা প্রধান হিসেবে যোগ দেয়ার বয়স এক বছর দুই মাস। এই সময়ের মধ্যে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তিনবার নোটিশ করেছি। তিনি তার ঋণ পরিশোধে আশানুরূপ সাড়া দেননি। তাকে চূড়ান্ত নোটিশ করা হয়েছে। এরপর ব্যাংক মামলার পথ বেছে নেবে। 


বিষয়টি নিয়ে কথা হয় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে আমি কোম্পানিতে যেতেই পারিনি। ব্যবসা করতে পারিনি। এজন্য ঋণটা বেড়ে গেছে। আমি চলতি বছরে দুই কোটি টাকা দিয়েছি। ফাইলটি রি-শিডিউল করার জন্যও টাকা দিয়েছি। ব্যাংকের ওই শাখা আমার ফাইলটি রি-শিডিউল করার জন্য হেড অফিসে পাঠিয়েছেন। সেখানে বোর্ডে রি-শিডিউল হওয়ার কথা। ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে কেন তারা চূড়ান্ত নোটিশ দিলো, সেটি আমার বোধগম্য নয়। এর মধ্যে অন্যকোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।


মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad