পেনসিলভানিয়া, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান বিএনপি’র প্রার্থী পরিবর্তনে আবেদনের স্তূপ নয়াপল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, যা বললেন জামায়াত আমির হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু: ডিএমপি কমিশনার হাদি বলেছিলেন, ‘তোমরা আইসো না, প্রচারণা শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করবো’ খালেদার জন্য হাসিনার প্রার্থনা, স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ পার্থর বিপক্ষে এনসিপি থেকে লড়বেন তাজনূভা জাবীন বগুড়া ৬-এ তারেক রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির ওয়াকি আব্দুল্লাহ কে কোন আসনে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন: তারেক রহমান

খরচের চাপ কমাতে ওষুধ কেনা কমিয়েছে সাধারণ মানুষ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে চিড়েচ্যাপ্টা সাধারণ মানুষ। তাতে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি। পকেট কাটার পরিধি হারে হারে টের পাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। জটিল রোগে যাদের ওষুধের বিকল্প কিছু নেই, তাদের এখন মাথায় হাত।

পথ্যের ব্যবহার ও বিক্রি নিয়ে বিশ্ব্যব্যাপী গবেষণা করে আইকিউভিআইএ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন বলছে, আগের তুলনায় দেশে ওষুধ বিক্রি কমেছে। দুই বছর আগে ওষুধ বিক্রির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ থাকলেও এখন সেটি কমে পৌঁছেছে ২ শতাংশে।


আর ফার্মাসিউটিক্যালের তথ্য বলছে, না খেলেই নয় এমন ওষুধও পরিবর্তন করছেন রোগীরা। খুঁজছেন তুলনামুলক কম দামের পথ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্য সমন্বয় করতে না পেরেই বিকল্প উপায় খুঁজছেন তারা।


মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, এখন তো দেশে সবকিছুরই দাম বেশি। ওষুধের দামও বেশি। যেসব ওষুধ একেবারে না নিলেই চলে না, সেগুলোই এখন কেনা হয়। ‍তুলনামূলক কম প্রয়োজন এমন ওষুধ এখন তিনি কেনেন না বলেও জানান।


দেশে ওষুধের খুচরা বিক্রির অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান লাজ ফার্মা। প্রতিষ্ঠানটির দৃষ্টিতে ভিটামিনের বিক্রি এখন অনেক কমেছে। নানা উপায়ে খরচ কমাতে চাইছে মানুষ।


লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, গত কয়েক মাসে ওষুধ বিক্রি কমেছে। সরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী কতজন আছে? অঢেল টাকা আছে এমন মানুষও কম। দেশের অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত শ্রেণির। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এসব মানুষ কিছুটা সংকটময় সময় পার করছে। যার প্রভাবে ওষুধ বিক্রি কিছুটা কমেছে।


রোগীদের সংকট বুঝতে পারছেন চিকিৎসকরাও। গুরুতর সমস্যা না হলে এখন চেম্বারে যেতে চান না অনেক রোগীই। বিষয়টি নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ওষুধের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। প্রতিবছর দেশের ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ রোগীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে ওষুধের দাম বাড়ার কারণে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


তার মতে, নিয়ন্ত্রকদের তদারকির অভাবে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হচ্ছে ভোক্তাকে। তিনি বলেন, দুইটি কোম্পানির একই ওষুধের দাম দুই রকম। এমনটি কেন হচ্ছে? এসব প্রতিষ্ঠানের ওষুধের মানের পার্থক্য কতটুকু সেটি তো সাধারণ মানুষ বোঝে না। তাহলে এসব দেখার দায়িত্ব যাদের, তারা কতটুকু দেখছেন, সে প্রশ্ন থেকে যায়। ওষুধ জীবনে অত্যাবশকীয়, তাই এটি সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad