পেনসিলভানিয়া, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
জামায়াতে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক বিএনপি–জাপা নেতাকর্মী জাপা ও জেপির নেতৃত্বে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ৮ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস আজ আমার হায়াত কমিয়ে হলেও খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে দেন জোট গঠনের বিষয়ে যা বললেন সারজিস বিএনপির সঙ্গে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি ১০ ডিসেম্বর তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে না, বরং পুনর্গঠনের পথে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে যেসব আধুনিক সুবিধা দেশে এল তারেক রহমানের ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার গাড়ি, বিআরটিএতে নিবন্ধন সম্পন্ন পুলিশ কমিশন গঠন হচ্ছে, অধ্যাদেশ অনুমোদন নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে আম জনতার দল, চেয়েছে প্রজাপতি প্রতীক অক্সফোর্ড ইউনিয়নের আমন্ত্রণ পেলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন কমান্ডো এনএসজিসহ ২৪ ভারতীয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

জামায়াত আমির নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে যা জানা গেল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৮ এএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

মাওলানা মওদুদীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে আমির নির্বাচিত হয়েছেন ছয়জন নেতা।

তাদের মধ্যে ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাওলানা আবদুর রহিম, ১৯৬০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত), ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মকবুল আহমদ এবং সর্বশেষ ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে নতুন আমির নির্বাচন করবে দলটি।


জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলোর মেয়াদ তিন বছর। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাচনগুলো সম্পন্ন হয়।


আমিরে জামায়াত পদে নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, তিন বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৪/৫ মাস ধরে অভ্যন্তরীণভাবে একটা প্রস্তুতি নেয় জামায়াত। যখন আমিরে জামায়াত নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয় তখন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা একটা প্যানেল করে। শূরা সদস্যদের গোপন ভোট হয়, সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিনজনকে এই প্যানেলে রাখা হয়। এই তিন জনের নাম আমাদের সারা দেশে যত পুরুষ এবং নারী রুকন সদস্য আছেন তাদের জানানো হয়।


তাদের বলা হয়, আগামী তিন বছরের জন্য এই তিন জনের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে আপনি আমিরে জামায়াত পদে ভোট দিতে পারেন। আপনি যদি ভালো মনে করেন তাহলে এর বাইরেও যেকোনো একজনকে ভোট দিতে পারবেন। সেই স্বাধীনতাও একজন রুকনের আছে। রুকনরা তাদের বিবেচনায় ভোট দেন। যিনি সর্বোচ্চ ভোট পান তিনি আমিরে জামায়াত নির্বাচিত হন।


জানা যায়, জামায়াতের বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান এই পদে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন আমির নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা এ বিষয়ে এ বিষয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, নির্বাচনের শিডিউল যখন ঘোষণা করা হবে তখন রুকনদের চিঠি দিয়ে জানানো হবে যে, মজলিসে শূরার সদস্যরা গোপন ভোটে এই তিনজনকে প্যানেলের জন্য নির্বাচিত করেছেন। তখনই শুধু এটা রুকনরা জানবেন। এর বাইরে আমরা এটা প্রকাশ করি না। রুকনদের এখনো জানানো হয়নি।


তিনি বলেন, এই নির্বাচনগুলো জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খুবই স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। আমরা এটা সব সময়ই করে আসছি। চরম দুঃসময়েও এটা আমরা করেছি। এখন তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক, কোনো অসুবিধা নেই।


মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad