পেনসিলভানিয়া, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান বিএনপি’র প্রার্থী পরিবর্তনে আবেদনের স্তূপ নয়াপল্টনে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, যা বললেন জামায়াত আমির হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু: ডিএমপি কমিশনার হাদি বলেছিলেন, ‘তোমরা আইসো না, প্রচারণা শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করবো’ খালেদার জন্য হাসিনার প্রার্থনা, স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ পার্থর বিপক্ষে এনসিপি থেকে লড়বেন তাজনূভা জাবীন বগুড়া ৬-এ তারেক রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির ওয়াকি আব্দুল্লাহ কে কোন আসনে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন: তারেক রহমান

রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি, শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার শাহাবাগ থানা পুলিশ। 

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে কর্মরত অবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য কোটা সংরক্ষণের দাবীতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। 


বিগত ২০১৬ সালের ১১ ১১ ফেব্রুয়ারী এ মামলার কিছু অবজার্ভেশনসহ রুলটি খারিজ হয়, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও রয়েছে। মুন্সী রুহুল আসলাম অজ্ঞাত আসামীদের সহযোগীতায় জাল রায় প্রস্তুত করে বিচারপতিদের স্বাক্ষর জাল করে নিজেই স্বাক্ষর দেন। তিনি রীট শাখাসহ আরডি শাখার কর্মরত অজ্ঞাত আসামীদের (কর্মচারীদের) সহযোগিতায় মামলার রেকর্ড থেকে মূল রায় সরিয়ে জাল রায় ঢুকিয়ে রাখেন।


সংশ্লিষ্ট রীট শাখার অনুলিপি বিভাগ থেকে জাল রায়ের নকল সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ফেনীর পিটিআই এর ইনসপেক্টর (বিজ্ঞান) মোঃ জাকির হোসেন আগেই রেকর্ড থেকে মূল রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। মোঃ জাকির হোসেন ২০২২ সালের ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল বরাবর মূল রায়ের সার্টিফাইড কপির ফটোকপিসহ এ সংক্রান্ত একটি জালিয়াতির অভিযোগ করেন। 


বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনা হলে তিনি এ ঘটনায় বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি জিনাত হকের সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন। এ বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট পূর্নাঙ্গ রায় প্রদান করে ৮৬/২০১৬ মামলার রুল ডিসচার্জ করেন। একইসাথে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টারকে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। এর ফলে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলাম ফৌজদারী অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। হাইকোর্টের কোর্ট কীপার ইউনুস খান গত ১৫ এপ্রিল বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ঢাকার শাহাবাগ থানায় মামলা নথিভুক্তর আদেশ দেন। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।  


শিবচর থানার ওসি সুব্রত গোলদার জানান, শাহাবাগ থানা পুলিশ শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুন্সী রুহুল আসলামকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেফতার করেছে। তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। 

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad