পেনসিলভানিয়া, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সর্বশেষ:
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ, যা বললেন জামায়াত আমির হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু: ডিএমপি কমিশনার হাদি বলেছিলেন, ‘তোমরা আইসো না, প্রচারণা শেষে একসঙ্গে লাঞ্চ করবো’ খালেদার জন্য হাসিনার প্রার্থনা, স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ পার্থর বিপক্ষে এনসিপি থেকে লড়বেন তাজনূভা জাবীন বগুড়া ৬-এ তারেক রহমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির ওয়াকি আব্দুল্লাহ কে কোন আসনে লড়বেন এনসিপির আলোচিত নেতারা ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মদ বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব জনগণ ১৯৭১ সালেই তাদের দেখেছেন: তারেক রহমান ১০ ডিসেম্বর রেকর্ড হবে সিইসির ভাষণ, সেদিনই হতে পারে তফসিল ঘোষণা নীতি-আদর্শ ছাড়াই ধর্মের নামে রাজনীতি করছে একটি দল ১৮ দল নিয়ে জাপার একাংশ ও জেপি’র নেতৃত্বে জোট এনডিএফ ঘোষণা ‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে 'স্টুপিড', 'শুয়োরের বাচ্চা', 'বেজন্মা' বললেন আম জনতা দলের তারেক

৯০ দশকের অসাধারন  কিছু স্মৃতি নিয়ে আমার লেখা “খেলাধুলা”

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪

তানজিমা আক্তার

"কুতকুত"

আমাদের বাসাটা জুরাইনের বাসা হিসেবে পরিচিত।আমাদের একতালা বাড়ি ছিল কিন্তু বিশাল বড়।যখন ছোট ছিলাম আমরা ভাই বোনরা ছাদে খেলতাম। আমাদের শৈশবের খেলাগুলো ছিল খুবই সুন্দর যা আজকালের বাচ্চারা জানেও না যে আমরা কি খেলাধুলা করতাম। আমাদের ছাদে আমরা খেলতাম বরফ পানি,কুতকুত ,ফুলটোক্কা,কানামাছি,চোর-পুলিশ,কাটাকাটি,আরো সময়ের সাথে ভুলে যাওয়া কত যে খেলা ছিল।আম্মু দুপুরের পর জোর করে ঘুম পারাতো কিন্তু আমরা কেউ ঘুমাতাম না।মা একটু ঘুমালেই লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতে চলে যেতাম।মার বকুনি খেতাম কিন্তু তারপর ও বার বার এমনটাই করতাম।

  "ফুলটোক্কা"

৯০ দশকের খেলাগুলো আমরাই হয়তো শেষবারের মত এত আনন্দের সাথে উপভোগ করতে পেরেছি।আজকের বাচ্চারা শুধু বুঝে ভিডিও গেমস আর ফোন।খুব ইচ্ছে করে বাচ্চাদের যদি আমাদের শৈশবের খেলাগুলো বুঝাতে পারতাম।কিন্তু বাচ্চারা এখন খুব আপডেট তারা এগুলো শুনতে চায় না।

৯০ দশকের খেলার কথা বলতে গেলে বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা বলতেই হবে।সেইসময় কিন্তু আমাদের বাসার সবাই আর্জেন্টিনা সাপোর্টার ছিল।আর্জেন্টিনা খেলা হলে সবাই বসার ঘরে একসাথে দেখতাম।যখন গোল হত আমার জ্যাঠারা, ভাইরা ”গোলললল”বলে সেই জোরে চিৎকার দিত।আমরা তো সেই লাফালাফি করতাম।বিশ্বকাপ ফাইনাল যখন হত তখন একটা বড় কোক নিয়ে আসা হত।একবার আর্জেন্টিনা ছয় গোল করেছিল।কি যে আনন্দ ছিল আমাদের ভাই বোনদের।

খেলাধুলার কথা আসলে নানু বাসার কথা কি করে ভুলে যাই।কলাবাগান স্টাফ কোয়াটারে ছিল নানু বাসা। আমার নানা ছিলেন সচিবালয়ের কর্মরত অফিসার। নানু বাসার ঠিক সামনেই বিরাট বড় মাঠ ছিল মাঠের সাথে ছিল বিশাল বড় মসজিদ।আমরা একই সমান খালাতো মামাতো ভাই বোন ছিলাম বেশ কয়েকজন। নানা বাসায় গেলে বোনরা সবাই মিলে একসাথে সেই মাঠে খেলার কথা কি করে ভুলে যাই।আমার নানা সবসময় বড় জুব্বা ও টুপি পরে থাকতেন।উনি সবসময় আমাদেরকে ওনার পকেট থেকে চকলেট বের করে দিতেন।নানা-নানীর আদর আমরা সবাই সমান ভাবে পেয়েছি।আজ আমার নানা-নানী নেই।কিন্তু নানা-নানীর দেওয়া আদর, কথা সবই আমাদের ভাই বোনদের মাঝে স্মৃতি হয়ে আছে।আল্লাহ ওনাদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক সবসময় দু’আ করি।

খুব ইচ্ছে ছিল খেলাগুলো কিভাবে খেলতাম তা কিছুটা বলার কিন্তু আজ আর হলো না হয়তো অন্য কোনদিন জানাবো অন্য কোনভাবে।

আশা করছি আমার লেখাটা পড়ে অনেকেই তার ৯০ দশকের খেলার স্মৃতি গুলো মনে করবে,আমারও এটাই প্রচেষ্টা।

চলবে…..

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad